নিরাপদ সড়ক ও বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী হত্যার বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ৭ম দিনে গড়িয়েছে। তবে গত ৫দিনের মতো শুক্রবার ও শনিবার রাস্তায় শিক্ষার্থীরা ছিল না। তবুও রাস্তায় নেই বাস সার্ভিস। এবার যেন পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা অঘোষিত ধর্মঘট পালন করছেন। আর এতে ভোগান্তি বেড়েছে রাজধানীবাসী ও অফিসগামী মানুষের।
তবে রাজধানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরশেনের (বিআরটিসি) কয়েকটি বাস চলতে দেখা গেছে। সেগুলোতেও উঠতে হচ্ছে অনেক কষ্ট করে।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত মিরপুর রোড, রোকেয়া সরণি, সাতমসজিদ রোড, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, মানিক মিয়া এভিনিউ, প্রগতি সরণি, এলিফ্যান্ট রোডে তেমন কোনো গণপরিবহন দেখা যায়নি।
সড়কে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস চলাচল করছে। সেগুলোও অনেক কম। বেশি ভাড়াও দিয়ে অনেক দুর্ভোগে অফিস ও গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে।
শ্যামলীতে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রী রশিদ ওয়াসিফ জানান, আমি বসুন্ধরা এলাকায় যাব, কোনো গাড়ি নেই। দুই-একটি বিআরটিসির বাস আসছে। তবে সেখানেও উঠতে পারছি না। পরে পায়ে হেঁটেই গন্তব্যের উদ্দেশে রওয়া দিলাম।
আব্দুল্লাহপুর থেকে মহাখালী কর্মস্থলে যাবেন গাজী সালাহউদ্দিন, তিনি বলেন, বাসের অপেক্ষায় ঘন্টাখানিক ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছি। কখন গন্তব্যে যেতে পারবো জানি না।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই কুর্মিটোলায় জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। প্রধানমন্ত্রী ২ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যদের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে নিয়ে এসে তাদের সান্ত্বনা ও সমবেদনা জানান। পরে প্রধানমন্ত্রী নিহত দুই শিক্ষার্থীর প্রত্যেক পরিবারকে ২০ লাখ টাকা করে মোট ৪০ লাখ টাকার পারিবারিক সঞ্চয়পত্র দেন। বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর থেকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন। বুধবার চতুর্থ দিনের মাথায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঢাকার পর চট্টগ্রাম, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়ে।